
Covid 19 আমাদের দেশে মহামারী আকার ধারন করার আগে থেকেই বিদ্যালয় গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও কিছু কিছু বোর্ডের পরীক্ষা চলছিল। শেষে সমস্ত পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যা অবশ্যই সঠিক এবং সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত। সারা দেশে প্রায় 30 কোটি ছাত্রছাত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠরত। তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা সরকারের প্রত্যেকেই ভাবিত সবার অভিভাবকদের মতই।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ বিদ্যালয় গুলি শুরু হতে পারে মধ্য August থেকে। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী জানিয়েছেন প্রথমে অষ্টম শ্রেনী থেকে পাঠদান শুরু হবে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে। পশ্চিমjবঙ্গে জুলাই পর্যন্ত ছুটি থাকছে। এখন প্রশ্ন কবে খুলবে বিদ্যালয় কারন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করতেই হবে। আর এখানেই বিভিন্ন বিষয় উঠে আসছে তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্বাস্থ্য। কিভাবে তা রক্ষা করা যাবে।
বিভিন্ন সংগঠন তাদের বক্তব্য জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করছেন। এর মধ্যেই একটি অংশের মানুষ শিক্ষকদের বেতন নিয়ে কটাক্ষ করছেন। NCERT বিভিন্ন সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিতে চলেছে। এর মধ্যেই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের দায়িত্ব।
1. বিভিন্ন বিদ্যালয় গুলোতে থার্মাল scanning দেওয়া হবে । এগুলো নিয়ন্ত্রন করতে হবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের।
2. sanitizer ব্যবহার এবং তার সঠিক ব্যবস্থাপনা। 3. ছাত্রছাত্রীদের mask বিতরন। 4. Midday meal খাওয়ার সময় দূরত্ব বজায় রাখা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। 5. কোনো ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোনোরকম জ্বর সর্দি কাশী থাকলে তার Counselling করা এবং বাড়িতে report করা । 6. কোনো class গ্যাপ থাকলে তার পর্যবেক্ষণ করা।
7. CC camera কথা বলা থাকলেও আমাদের রাজ্যের বিদ্যালয় গুলোতে প্রায় নেই বললেই চলে। অর্থাৎ শিক্ষক শিক্ষিকাদের দায়িত্ব এতটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে যা বলা যেতে পারে অনেকটাই বেশি হয়ে যাবে কারন শিক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য কাজ যা পূর্বের মতোই চলবে। যদিও এখনো পর্যন্ত লিখিত আকারে কোনো নির্দেশিকা বের হয়নি।
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো বিভিন্ন অভিভাবকরা ইতিমধ্যেই কোর্টে মামলা করেছেন পঠনপাঠন এবং পরীক্ষা নিয়ে। সুতরাং বলা যায় শিক্ষক শিক্ষিকারা এবং অভিভাবকরা সত্যিই খুব চিন্তাগ্ৰস্ত তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য নিয়ে।
যদিও বিদ্যালয় খোলার মতো কোনো খবর পাওয়া যায়নি বা কোভিড পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।